সাধারণ মায়েরা যেখানে দু তিনটা সন্তান লালন পালন করতে হিমসিম খান সেখানে ২ জন দম্পতি প্রসূন বড়ুয়া এবং অনুমিতা বড়ুয়া লোপা শত শত ছেলে-মেয়েদের লালন পালন করেছেন,ছোট থেকে বড় করেছেন। যাদের বেশীর ভাগের মা-বাবা ছিলোনা এবং তারা ছিলো দুর্গম এলাকার।
তখন শিক্ষার আলো দূরের কথা ঠিক মতো খাবার ও পেতো না অনেকেই। সেইসব ছেলে মেয়েদেরকে এনে নিজের ছেলে মেয়ের মতো করো গড়ে তোলেন।
বর্তমানে সেইসব ছাত্র-ছাত্রী গুলো সবাই যার যার মতো প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এখনো সে-ই সব ছাত্র ছাত্রীরা মা-বাবা বলে ডাকেন উনাদের। কারণ উনারা সবাইকে সেই ভাবে বড় করেছেন। যদিও উনাদের ঘরে এক ছেলে সন্তান আছে।যার নাম পরাগ চৌধুরী সাগর (২৮) তবে তার ও আগে থেকে উনাদের কাছে ছিলো শত সন্তান।
এগুলো সব আজ থেকে ৩০ বছর আগের কথা। কক্সবাজারের রামু উপজেলায় রাংকূট নামক জায়গায় এক চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান ‘ জগত জ্যোতি চিলড্রেন ওয়েল ফেয়ার হোম” এর কথা। যেখান থেকেই অনেক ছেলেমেয়ের জীবন আজ অন্যরকম হয়েছে।
প্রসূন বড়ুয়া এবং অনুমিতা বড়ুয়া লোপা উনারাই আরো কয়েক জন সহ নিজেদের ছেলেমেয়ের মতো করে এতিম ছেলে মেয়েদেরকে মানুষ করেন।
কিছু দিন আগে জানা গেলে উনার ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ব্রেস্ট ক্যান্সার।
এটি শুনে সাবেক ছাত্র ছাত্রী গুলো সবাই ভেঙে পড়ে। কারণ উনাদের মায়ের ক্যান্সার বলে কথা।
তাই সৃষ্টি কর্তা সহ সকলের কাছে দোয়া/প্রার্থনা কামনা করেন সেই সব শিক্ষার্থীরা।
এক জন, দু জন নন, শত শত সন্তানেরা তাদের মায়ের জন্য এই কামনা করছেন।
সৃষ্টি কর্তা নিশ্চয় শুনবেন।
উল্লেখ্য অনুমিতা বড়ুয়া লোপা বর্তমানে জগত জ্যোতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা, প্রসূন বড়ুয়া, উন্নয়ন সংস্থা সোশ্যাল এইড এর পরিচালক।